স্কিন কেয়ারে ভিটামিন সি!

স্কিন কেয়ারে ভিটামিন সি

মানব দেহের জন্য ভিটামিন সি-এর উপকারিতা সবার জানা। সুস্থ থাকতে ভিটামিন সি বিকল্প নেই। ভিটামিন সি শরীরের দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। এমনকি ভিটামিন সি আমাদের ব্রেইনের নিউরোট্রান্সমিটারের চলাচলে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি হাড় গঠনেও ভূমিকা রাখে।
তবে অনেকের হয়তো জানা নেই ভিটামিন সি খুব সহজেই শরীর থেকে বের হয়ে যায়, তাই প্রতিদিনই শরীরের ভিটামিন সি প্রয়োজন পরে। তবে সবকিছুই গ্রহণ করতে হবে দেহের চাহিদা অনুযায়ী, কারন কোনো কিছু কম বা বেশি দুটোই দেহের জন্য ক্ষতিকারক৷ একজন ব্যক্তিকে প্রতিদিন গড়ে ৪৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত, এরচেয়ে বেশি ভিটামিন সি গ্রহন করলেও কিন্তু শরীর থেকে বের হয়ে যাবে। আবার যদি ৪৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি শরীর না পায় তখনও শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধবে।

ভিটামিন সি-এর সব চেয়ে বড় গুন হচ্ছে এটি ক্ষত বা যেকোনো ইনফেকশন থেকে ভালো হয়ে উঠতে সাহায্য করে। অনেকের যেকোনো ক্ষত সেরে উঠতে সময় লাগে সেক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের ভিটামিন সি অভাব রয়েছে৷ ভিটামিন সি অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়ে থাকে। এছাড়া অল্পতেই ক্লান্তি, রক্তস্বল্পতা, সহজেই
সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যাওয়া, শরীর ব্যথা, ঠোঁটে ঘা ইত্যাদি শরীরে ভিটামিন সি-এর অভাবের লক্ষণ। ভিটামিন সি-এর বড় একটি ভূমিকা রয়েছে আমাদের স্কিনে৷ ভিটামিন সি তে রয়েছে প্রচুর পরিমানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের স্কিনকে ক্ষতিকারক ইউ আর ভি থেকে রক্ষা করে। এছাড়া আমাদের স্কিনের পিগমেন্টশন দূর করে ও স্কিনকে ব্রাইট করে৷ ভিটামিন সি স্কিনের বলিরেখা কমিয়ে বয়সের ছাপ পরতে দেয় না৷ কারণ এটি স্কিনে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়।
লেবু ও লেবুজাতীয় সব টক ফল ভিটামিন সি- এর উৎস৷ কমলা, আনারস,পেয়ারা, আমড়া, জাম, পেঁপে ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। এছাড়া সবুজ শাকসবজিতেও ভিটামিন সি রয়েছে। তাই সুস্থ ও সুন্দর থাকার জন্য প্রতিদিনের ডায়েটে ভিটামিন সি রাখা অপরিহার্য। কিন্তু অনেক সময় ভেতর থেকে শরীরকে ভিটামিন সি দেয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন পরে বাইরে থেকেও বাড়তি কেয়ার নেয়ার। সেক্ষেত্রে বেছে নেয়া যেতে পারে ” গার্নিস ভিটামিন সি ফেইশওয়াশ “।
এটি স্কিনকে হেলদি রাখতে সাহায্য করবে ও কোলাজেন বৃদ্ধি করবে। স্কিনে থাকা কালো দাগ দূর করবে পাশাপাশি ড্যামেজ রিপেয়ার করবে৷ অনেকের স্কিনে বয়সের আগেই বলিরেখা পরে যায় ও বয়সের ছাপ পরে যায় সেইসকল সমস্যা দূর করতেও গার্নিস ভিটামিন সি ফেইশওয়াশ দারুণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিদিন ব্যবহার করলে এটি স্কিনকে আদ্রতা দিবে ও ড্রাইনেস কমিয়ে দিবে৷ এবং ব্ল্যাকহেডসের মতো সমস্যাও দূর করে দেয়। অনেকের দেখা যায় ঘুম থেকে উঠলেই নাক ও নাকের আশেপাশে তেল জমে থাকে। সেক্ষেত্রে এটি স্কিনের অতিরিক্ত অয়েল প্রোডিউস করতে বাধা দিবে। তাই গার্নিস ভিটামিন সি ফেইশওয়াশ সব টাইপ স্কিনের জন্য উপযুক্ত।

ব্যবহারবিধি :
সিলিকন ব্লাশ থেকে প্রয়োজনমতো ক্লিনজারটি পাম্প করে নিতে হবে এরপর গোল গোল করে পুরো মুখে আলতো করে ঘষতে হবে এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে পুরো ধুয়ে নিতে হবে৷ ভালো ফলাফলের জন্য রোজ দুবার ব্যবহার করতে হবে।

Leave a Reply