মনিং স্কিন কেয়ার ও মেকআপ

skincareroutine

বলা হয় আপনার সারাদিন কেমন যাবে তা নির্ভর করছে আপনার সকাল টা কেমন হবে। তাই ঘুম থেকে উঠে সারাদিনের ধকল নেয়ার জন্য মন ও শরীরকে প্রস্তুত করার পাশাপাশি আমাদের স্কিনকেও প্রস্তুত করা জরুরি। 

ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস পানি পান করুন, পানি শরীরের ভেতর থেকে টক্সিক পদার্থ বের করতে সাহায্য করবে। এবং সারাদিন গ্লো করার জন্য অবশ্যই প্রোটিন সমৃদ্ধ ব্রেকফাস্ট করতে হবে। প্রোটিন শরীরে কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। 

এরপর স্কিন টাইপ বুঝে একটা ভালো ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে৷ এতে মুখের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ময়লা গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে ও ফ্রেশ অনুভূতি হবে৷ হাতে সময় থাকলে স্ক্রাবিং করতে পারেন এতে মৃতকোষ দূর হবে, কিন্তু স্ক্রাবিং যে রোজ করতে হবে এমন না, সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন। এরপর ব্যবহার করুন অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সিরাম। খেয়াল রাখবেন যাতে আপনার মনিং স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টে ভিটামিন সি বা ই থাকে৷ কারণ এ দুটি স্কিনকে সহজে ডিহাইড্রেট হতে দেয় না৷ এরপর মুখে টোনার ব্যবহার করুন, টোনারের মূল কাজ হল ত্বকের পিএইচ সমতা বজায় রাখা। এরপর ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, এটি স্কিনের হাইড্রেট রাখবে ও অয়েল ব্যালেন্স করবে। ময়েশ্চরাইজার আপনার স্কিনকে ভেতর থেকে হেলদি রাখবে৷ এরপর ভালো করে মুখে ও কাঁধে  সানস্ক্রিন ব্যবহার করে নিন, এটি আমাদের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করবে। এবং অবশ্যই ২-৩ ঘন্টা পরপর সানস্ক্রিন রিএপ্লাই করতে হবে৷ 

স্কিন কেয়ার তো শেষ এখন ঘর থেকে বের হবার আগে জটচলদি মেকআপ তো নিতে হবে৷ রেগুলার মেকাআপে ফাউন্ডেশন এড়িয়ে যেতে হবে আর যদি ব্যবহার করতে চান তাহলে স্কিন টোনের সাথে মিল রেখে ন্যাচারাল কোনো একটি ফাউন্ডেশন বেছে নিতে হবে৷ ফাউন্ডেশনের বিকল্পে ব্যবহার করতে পারেন বিবি ক্রিম। এরপর ফেইস পাউডার দিতে হবে, ফেইস পাউডার মুখের অতিরিক্ত অয়েলকে ব্যালেন্স করবে। ফেইস পাউডারের পর লুজ পাউডার দিতে হবে, এটি মেকআপকে সেট করবে৷ সকালে কন্ট্যুরিং না করাই ভালো, তবে চাইলে ব্রোঞ্জিং করে নেয়া যেতে পারে। এরপর গালে ও নাকে ব্লাশন ব্যবহার করে বেইজ মেকাপ কমপ্লিট করে ফেলতে হবে৷ আই লুকের ক্ষেত্রে সকালে খুব ড্রামাটিক লুক না করাই ভালো, চাইলে ব্রাউন কিংবা হালকা কোনো সেইড ব্যবহার করা যেতে পারে যা সব ধরনের পোশাকের সাথে মানিয়ে যায়৷ মাশকারা চাইলে ঘন করে ব্যবহার করা যেতে পারে, এরপর আইলাইনার কিংবা কাজল দিয়ে আই লুক কমপ্লিট করতে হবে৷ সকালে কোনো ডার্ক ডিপ লিপস্টিক বেছে না নিয়ে ন্যুড শেডগুলো বেছে নিতে হবে। লিপস্টিকের আগে লিপ গ্লস লাগিয়ে নিলে ডিউয়ি মেকআপ লুক পাওয়া যাবে৷ সবশেষে মেকাআপ সেটিং স্প্রে দিয়ে সারাদিনের জন্য মেকাআপ লক করে দিতে হবে। 

এ ধরনের মেকাআপ লুক অফিস কিংবা ইউনিভার্সিটি ক্লাস যেকোনো জায়গায় নির্দ্বিধায় করে যাওয়া যায়। অনেকেই আছে যারা খুব হেবি মেকাআপ করতে চায় না তারা কিন্তু যেকোনো   পার্টিতে এমন ন্যাচারাল লুক ক্রিয়েট করতে পারে

Leave a Reply