চুলের যত্নে যা করবেন

সুন্দর ও সুস্থ চুল আমরা সবাই চাই কিন্তু চুলকে বাড়তি যত্ন করি কি আমরা ? আমরা অনেকেই মনে করি শ্যাম্পু ব্যবহার করলাম আর বুঝি চুলের যত্ন হয়ে গেল! আসলে তা নয় শ্যাম্পুর পাশাপাশি আপনাকে কিছু ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে তবেই আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।

আমরা অনেকেই শেষ কবে তেল দিয়েছি জিজ্ঞাসা করলে এর জবাব দিতে পারব না৷ কারণ তেল দেয়ার প্রতি বেশিভাগ মানুষের অনীহা রয়েছে। কিন্তু দিনের পর দিন তেল না দিলে চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে৷ তাই সপ্তাহে অত্যন্ত ১ থেকে ২ দিন তেল দিতে হবে৷ সারারাত তেল দিয়ে পরেরদিন সকালে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে৷ তবে তেল দিয়ে বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না এতে চুলে আরো ধুলাবালি জমবে৷ শীতের আবহাওয়াতে চুল অনেক রুক্ষ হয়ে পরে ও শীতের সময় চুলের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় খুশকি। তাই চুলকে রুক্ষতা থেকে বাঁচাতে মশ্চেরাইজারইড রাখাটা অনেক বেশি জরুরি। সেক্ষেত্রে চুলে একটি ভালো সিরাম এপ্লাই করতে পারেন। অনেকে গোসল করে বের হয়ে চুরুনী দিয়ে চুল আঁচরাতে থাকে, যা চুলের জন্য অনেকবেশি ক্ষতিকর। এতে চুলের আগা নরম হয়ে যায় ও চুল পরে। তাই ভেজা চুলে চিরুনি ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। প্রাকৃতিকভাবে চুল শুকানোর চেষ্টা করুন, প্রতিদিন হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহারের ফলে চুল রুক্ষ ও প্রানহীন হয়ে যায়৷ পেশাগত কারণে অনেকে প্রতিদিন হেয়ার স্ট্রেইটনার কিংবা হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করা লাগে। সেক্ষেত্রে মাসে একবার চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট নিতে হবে৷ শীতের সময় হট ওয়াটার শাওয়ার নেয়া হয় তবে অবশ্যই চুলে ঠান্ডা পানি দিতে হবে৷ চুলের জন্য গরম অতিরিক্ত গরম পানি ক্ষতিকর। গরম পানি চুলকে ড্রাই করে দেয় ও চুলে খুশকি সৃষ্টি করে৷ অতিরিক্ত খুশকি হলে পেঁয়াজের রস চুলে এপ্লাই করতে পারেন এতে খুশকি অনেকটা কমে আসবে৷ রং করা চুল অন্যান্য চুল থেকে বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকে, তাই চুলে রং করা থাকলে অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে ।

চুলের যত্নে অধিকাংশ মানুষ শুধু শ্যাম্পু ব্যবহার করে। তবে শ্যাম্পু বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ বাজারে অনেক নকল শ্যাম্পু আপনার চুলের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। সেক্ষেত্রে নিশ্চিতে বেছে নিতে পারেন Guerniss Anti Dandruff Shampoo ও Guerniss Moisturizing and Repairing Shampoo. এই দুটি শ্যাম্পু আপনার চুলকে মশ্চেরাইজারাইড রাখবে ও খুশকি মুক্ত রাখবে।

Leave a Reply