পুজোর আগে ফিট থাকুন

কিছুদিনের মধ্যেই শোনা যাবে ঢাকের শব্দ, তবে শপিং থেকে শুরু করে যাবতীয় সব আয়োজন রীতিমতো শুরু হয়ে গেছে৷ তবে শপিং এর পাশাপাশি পূজোটা এলে কিছু মানুষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় শরীরের বাড়তি ওজন। আর কেনই বা চিন্তা হবে না এতো শখের পোশাকে যদি পূজোর দিন নিজেকে আয়নায় সুন্দর না লাগে তবে মন খারাপ তো হবে। তবে এতো অল্প সময়ে ওজন কমিয়ে ফেলা সহজ ব্যাপার নয় এবং স্বাস্থ্যসম্মতও নয়। তাই পুরো মেদহীন না হলেও পুজোর আসার আগে এই কয়েকটি দিন কিছু নিয়ম মেনে চললে পুজোর দিন নিজেকে কিছুটা ফিট অনুভব করানো সম্ভব। চলুন নিয়মগুলো জেনে আসা যাক

ফাস্টফুড ও প্রসেসড ফুডকে না বলুন :

এই কয়েকটা দিন বাইরের খাবার সম্পূর্ণ পরিহার করুন। বাইরে খাবারে অস্বাস্থ্যকর ও অতিরিক্ত তেল লবন ব্যবহার করা হয়৷ যা শরীরের বাড়তি মেদ জমাতে সাহায্য করে। তাই ফাস্টফুড না খেয়ে কোনো কিছু খেতে ইচ্ছে করলে বাড়িতে স্বাস্থ্যসম্মত উপায় তৈরি করে খেতে পারেন।

সুগার বন্ধ করে দিন :

চিনি ও চিনি জাতীয় যেকোনো খাবার এড়িয়ে চলুন। শরীররে বাড়তি ওজনের কারণ ছাড়াও চিনি আমাদের শরীরে নানাভাবে খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই চিনি পরিবর্তে মধু খেতে পারেন। মিষ্টি জাতীয় খাবারের ক্রেভিং হলে খেজুর কিংবা বাদাম খাওয়া যেতে পারে, এতে ক্রেভিং অনেকটা কমে আসে।

প্রোটিন গ্রহণ করুন :

ওজন কমাতে গিয়ে অনেকে অতিরিক্ত কম খায়, যা আমাদের স্কিন ও চুলের ক্ষতি করে৷ এছাড়া অতিরিক্ত কম খেলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। তাই ডায়েট করলেও খেয়াল রাখতে হবে প্রতিদিন যাতে পরিমান মতো প্রোটিন গ্রহণ করা হয়। যেমন মাছ, মাংস, ডিম ও দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমানের প্রোটিন তাই সকালের নাস্তায় ডিম খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে সারাদিন এনার্জি পাওয়া যাবে। এছাড়া মসুরের ডাল, মটরশুটি, শিমের বিচি, সয়াবিন, বিভিন্ন ধরনের বাদাম ইত্যাদিতে প্রোটিন রয়েছে। প্রোটিন আমাদের চুল ও স্কিনকেও সুস্থ সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।

হাইড্রেটেড থাকুন :

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পানি আমাদের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে, মেটাবলিজম দ্রুত হলে আমাদের ওজনও দ্রুত কমবে। তাছাড়া পানি আমাদের শরীরের টক্সিক পদার্থ বের করে দেয়৷ খাবারের আগে পেটভরে পানি পান করে নিলে তুলনামূলক কম খাওয়া হয় কারণ পানি কারণে আমাদের পেটভরা অনুভব হয়। তাই ওজন কমাতে চাইলে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করুন ও খাবারের আগে পানি পান করুন।

শারিরীক পরিশ্রম :

দ্রুত ফিট হতে চাইলে শুধু ডায়েট করে ওজন কমবে না, প্রয়োজন শারিরীক পরিশ্রম কিংবা ব্যায়াম। তাই প্রতিদিন অলসতা ঝেড়ে কিছুক্ষণ ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন ৪০ মিনিট হাঁটলে শরীরের ফ্যাট কমানো সম্ভব। এছাড়া সাইকেলিং, সাঁতার কাটা, দড়ি লাগ, জগিং ইত্যাদি ব্যায়াম করা যেতে পারে৷
লাইফস্টাইলে কিছুটা পরিবর্তন আনা যেতে পারে যেমন লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি বেয়ে উঠা কিংবা গাড়ি বা রিক্সায় না উঠে পায়ে হেঁটে যাওয়া৷

প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম :

ঘুম আমাদের ওজনের উপর প্রভাব ফেলে যা আমরা অনেকেই জানি না৷ পরিমান মতো ঘুম না হলে শরীরের মেটাবলিজম কমে যায়৷ তাই বেশি রাত না জেগে দ্রুত ঘুমিয়ে পরার চেষ্টা করতে হবে , তাছাড়া রাত জাগার ফলে ক্ষুধা কিংবা ক্রেভিং এর মাত্রা বেড়ে যায়৷ তখন মাঝ রাতের সেই অতিরিক্ত খাবার আমাদের শরীরে বাড়তি মেদ জমিয়ে দেয়। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘন্টা আগে ডিনার শেষ করে ফেলতে হবে। খাবারের সাথে সাথে ঘুমিয়ে পরলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে৷

মনে রাখতে হবে কোন উৎসবকে কেন্দ্র করে দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর৷ কারণ ওজন কমানো বড় একটি জার্নি তাই শুধু ওজন কমানোর দিকে নজর না দিয়ে হেলদি লাইফস্টাইলের প্রতি মনোযোগী হতে হবে।তাই সহজ কিছু নিয়ম মেনে পুজোর আগে ফিট হয়ে উঠুন

Leave a Reply