বাড়িতেও কেন সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন?

Sunscreen

বছর ঘুরে আবার চলে এলো ঈদুল আযহা! ঈদুল আযহাতে যেন কাজের শেষ নেই। গৃহিণী হোক বা কর্মজীবী নারী কেউ এইসময়টা রান্না ঘর থেকে রেহাই পায় না৷ বাড়িতে মেহমান আপ্যায়ন, পরিবারের সবার প্রিয় রান্নার আবদার সব সামলাতে গিয়ে ঈদের এই সময়টা নারীদের বেশির ভাগ সময় কেটে যায় রান্নাঘরেই৷ তাই তো নারীদের এই সময়টায় চাই ত্বকের বাড়তি যত্ন। শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের জন্য একটু সময় বের করে না নিলে তো আর সুন্দর থাকা যাবে না।

আমরা মেয়েরা বাইরে বের হবার সময় নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেও রান্না ঘরে যাবার আগেও যে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে সেই বিষয়টা খেয়াল রাখি না৷ সানস্ক্রিন আমাদের ত্বকে প্রোটেকশন দিয়ে থাকে রোদ থেকে, কিন্তু রান্না ঘরে চুলার তাপ থেকেও এটি প্রোটেকশন দিতে সক্ষম। দীর্ঘ সময় চুলার কাছে থাকার ফলে আমাদের ত্বক বার্ন হতে পারে। বরং অনেক সময়
সান বার্ন থেকেও ত্বকে বেশি ক্ষতি করে ফেলতে পারে৷ মূলত প্রতিদিন আমাদের প্রতিদিন আমাদের ত্বক ২ ধরনের সূর্য রশ্মির মুখোমুখি হয়। একটি ইউভি-এ অন্যটি ইউভি-বি। ইউভি-এ রশ্মি ত্বকের ভেতর পর্যন্ত যেয়ে ত্বকের কোলাজেন প্রোডাকশন কমিয়ে দেয় যার ফলে খুব দ্রুত বয়সের চাপ পরে যায় ও বলিরেখা দেখা যায়৷ এছাড়া রিংকেল তৈরি হয়ে থাকে। ঘরের ভিতরও কিন্তু ইউভি রশ্মির উৎস থাকতে পারে। সানস্ক্রিন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের অপশন থাকে। তবে বাসায় থাকলে চেষ্টা করবেন এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে যেটির এসপিএফ ১৫ থেকে ৩০ এর নিচে। কিন্তু সবচেয়ে বড় যে বিষয় লক্ষ্য করা প্রয়োজন তা হচ্ছে এসপিএফ। এসপিএফ হল সান প্রটেক্টর ফ্যাক্টর। সানস্ক্রিন ক্রিম ছাড়া রোদে গেলে ত্বক মাত্র ২০ মিনিটেই ত্বক পুড়ে যায়। এই পুড়ে যাওয়ার সময়টুকুকে বর্ধিত করে দেয় এসপিএফ। মূলত এসপিএফ এর উপরেই নির্ভর করে সানস্ক্রিন একজনের ত্বককে কত সময়ের জন্য সুরক্ষা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে সানস্ক্রিন ত্বকে ক্যানসারের ঝুকি কমিয়ে দেয়।

সানস্ক্রিনের উপকারিতা

১৷ ত্বকে কালো ছোপ পড়তে দেয় না
২। অ্যালার্জি থেকে রক্ষা করে
৩। ত্বকে পোড়াভাব দূর করে
৪৷ বলিরেখা পরতে দেয় না
৫। ত্বকের লালভাব কমিয়ে দেয়
৬। ত্বক সুরক্ষিত থাকে এবং ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে।
৭৷ ত্বকের কোলাজেন লেয়ার প্রোটেক্ট করে।

নিজের ত্বকের জন্য পারফেক্ট সানস্ক্রিনের খোঁজে থাকলে আপনি আস্থা রাখতে পারেন ” এভরিডে সানস্ক্রিন লোশন” এর উপর। এতে রয়েছে এসপিএফ যা সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর। এসপিএফ এর উপরেই নির্ভর করে আপনার সানস্ক্রিন সান ড্যামেজ থেকে আপনার স্কিনকে কত পারসেন্ট সুরক্ষা দিতে পারবে। এই সানস্ক্রিনটি আপনাকে ইউভি বি রশ্মির পাশাপাশি ইউভি এ থেকেও রক্ষা করবে। আপনার প্রতিদিনের ত্বকের যত্নের তাই এটি
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অনেকের দীর্ঘ সময় চুলার কাছে থাকার কারণে ত্বকে জ্বালাপোড়া ও ইচিং অনূভুতি হয় ” গার্নিস এভরিডে সানস্ক্রিন লোশন ” তা কমিয়ে ঠান্ডা অনূভুতি দিবে। লাইট ওয়েট হবার কারণে এটি তেল চিটচিটে অনূভুতি দিবে না। এবং এটি সম্পূর্ণ সালফেট মুক্ত। আমরা জানি, আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি বয়সের দাগ সৃষ্টি করে, এই সমস্যা থেকেও কিন্তু আপনাকে রক্ষা করবে গার্নিস সানস্ক্রিন। তাই এই ঈদে পরিবারের সবার খেয়াল রাখার পাশাপাশি নিজের যত্নে কমতি রাখা যাবে না৷
রান্না ঘরে যাবার আগেও প্রটেক্টেড রাখুন নিজের।

ব্যবহারবিধি :

রান্না ঘরে যাবার ১৫ মিনিট আগে মুখ, ঘাড় ও হাতে-পায়ে সানস্ক্রিন এপ্লাই করুন। মশ্চারাইজার দেয়ার আগে সানস্ক্রিন দিতে হবে এবং যতটুকু পরিমান মশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন তার থেকে একটু বেশি পরিমান সানস্ক্রিন দিতে হবে। এসপিএফ ভেদে প্রতি ৩-৫ ঘন্টা পরপর সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয়। বাসায় ব্যবহার করা সানস্ক্রিন গুলোতে এসপিএফ এর পরিমাণ তুলনামূলক কম থাকে। তাই এর ক্ষমতাও একটু কম থাকে। চেষ্টা করবেন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন পুনরায় অ্যাপ্লাই করতে।

Leave a Reply