কালার কারেক্টর কখন, কিভাবে ও কেন ব্যবহার করবেন?

কালার কারেক্টর কি?

এটি এক ধরনের মেকআপ প্রোডাক্ট। যা ইউজ করার মাধ্যমে আমাদের ফেইসের যেকোনো ধরনের পিগমেন্টেশন বা ডিসকালারেশন, একনে, ডার্ক সার্কেল, স্পটস ইত্যাদি হাইড করে ফেলা যায় খুব সহজেই। এটি সাধারণত ক্রিম বেইজড হয়ে থাকে।

কালার কারেক্টর কত প্রকার?

কালার কারেক্টিং কনসিলার সাধারণত গ্রিন, ল্যাভেন্ডার, ইয়েলো, পিচ ও অরেঞ্জ কালারের হয়। এই একেকটি কালারের কনসিলার স্কিন কনসার্ন অনুযায়ী ফেইসের বিভিন্ন এরিয়াতে অ্যাপ্লাই করা হয়।

Guerniss three colour concealer

কখন কোন কালার কারেক্টর ব্যবহার করতে হবে?

আপনার ত্বকে যখন স্কিন কালারের ফাউন্ডেশন ও কনসিলার ব্যবহার করার পরেও পিগমেন্টেশন বা ডিসকালারেশন, একনে, ডার্ক সার্কেলসহ বিভিন্ন ইম্পারফেকশন হাইড করা সম্ভব হয়না। তখন বুঝতে হবে আপনার ত্বকে কালার কারেক্টিং প্রয়োজন।

আসুন জেনে নেই, কোন কালার কারেক্টর কখন এবং কিভাবে ব্যবহার করা হয়ঃ

 ১) গ্রিন কারেক্টর

স্কিনের যেকোনো ধরনের র‍্যাশ, একনে অথবা বার্থ মার্ক হাইড করে স্কিনকে ইভেন টোনড করতে গ্রিন কারেক্টর ইউজ করতে পারেন৷ পাশাপাশি গ্রিন কালার কারেক্টর স্কিনের রেডনেস কমিয়ে দিতেও হেল্প করে। যাদের স্কিনটোন লাইট বা ফর্সা, তাদের স্কিনে অনেক সময় লাল লাল ছোপ দেখা যায়। সেক্ষেত্রে সবুজ রং দিয়ে কারেক্টিং করতে হবে। যেহেতু গ্রীন কালার হুইলে রেড বা লালের অপসিটে অবস্থান করে তাই রেড বা লাল রং ইলিমিনেট করার জন্য গ্রিন কালার কারেক্টর ব্যবহার করা হয়।

২) ল্যাভেন্ডার/পারপেল কারেক্টার

পারপেল বা ল্যাভেন্ডার কালার কারেক্টর সাধারনত ইয়েলো বা হ্লুদ রং এলিমিনেট করতে ব্যবহার করা হয়। আমাদের ফেইসে সাধারণত ইয়েলো ডিসকালারেশন থাকলে সেক্ষেত্রে আমরা পারপেল কালার কারেক্টার ব্যবহার করে থাকি। পারপেল কালার হুইলে ইয়েলো এর অপসিটে অবস্থান করে তাই ইয়েলো কালার ইলিমিনেট করতে পারপেল কালার কারেক্টার ব্যবহার করা উচিত।

৩) ইয়েলো কারেক্টার

যেহেতু পারপেল কালার হুইলে ইয়েলো এর অপসিটে অবস্থান করে। তাই ইয়েলো কালার ইলিমিনেট করতে পারপেল কালার কারেক্টার ব্যবহার করা উচিত।হলুদ রঙের কালার কারেক্টার চেহারার বেগুনী ভাব দূর করে, লালচে দাগ কমায়, চোখের নিচে যে বেগুনী বা নীলচে কালার দেখা যায়। সেগুলো হাইড করার কাজ করে ও সম্পূর্ন মুখের রঙের সমতা আনতে সাহায্য করে।

৪) পিচ ও অরেঞ্জ কারেক্টার

লাল রঙের কারেক্টার চেহারার সবুজাভ ভাব দূর করে। একটু গাঢ় রঙের ত্বকে চোখের আশ-পাশের কালো ভাব ঢাকতে খুব ভাল কাজ করে। যাদের ট্যাটু আছে এবং সাময়িক ভাবে ঢেকে রাখতে চান তাদের জন্যও অরেঞ্জ কালার কারেক্টার খুবই উপযোগী। আর যাদের গায়ের রং খুব বেশি ফেয়ার তাদের ডার্ক স্পট ও সবুজ ভাব দূর করার জন্য পিচ কালার কারেক্টার ব্যবহার করা হয়।

৫) পিংক কারেক্টার

পিংক রঙের কারেক্টার চেহারার বাদামী ভাব দূর করে, কালো দাগ ও ডালনেস কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়।বয়সের ছাপ ও সান স্পট লুকাতে সাহায্য করে। কুল আন্ডারটোনের অনেক ফেয়ার স্কিনের জন্য এ রঙের কারেক্টার বেশ উপযোগী।

কালার কারেক্টর কীভাবে ব্যবহার করতে হবে?

স্কিন প্রিপেয়ার করার পর ফেইসকে স্কিনের ধরণ অনু্যায়ী প্রাইম করে নিতে হবে। এরপর কনসিলার ব্যবহারের পূর্বে আপনার ত্বকের ইম্পারফেকশনের উপর উপযোগী কারেক্টার এপ্লাই করে নিন। ফিংগার দিয়ে হালকা ড্যাব করে এর উপর কনসিলার এপ্লাই করুন। কনসিলার ব্রাশ অথবা বিউটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে ড্যাব ড্যাব করে নিতে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। খুব জোড়ে রাব করবেন না বা ঘষবেন না এতে প্রডাক্ট মুভ হয়ে যেতে পারে। কালার কারেক্টর ভালভাবে ব্লেন্ড করে নিয়ে এরপর ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে হবে। এভাবে আপনার স্কিনের সব ইম্পারফেকশন হাইড হয়ে আপনার মেকাপ বেইজ ফ্ললেস হয়ে যাবে।

Join Our Community

Leave a Reply