‘নো মেকআপ’ মেকআপ লুক এচিভ করুন নিখুঁতভাবে

‘নো মেকআপ’ মেকআপ লুক মেকআপ জগতে এক নতুন ট্রেন্ড। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এখন আর কেউ আগের মতন ভারী জাঁকজমকপূর্ণ মেকআপ করেনা। একমাত্র বিয়েশাদী বা কোন জমকালো পার্টি ছাড়া সাধারন মেকআপের জন্য ভারী ফাউন্ডেশনের ব্যবহার বা ড্রামাটিক আই লুক এখন কেউ তেমনটা প্রচলিত নয়। এমনকি বিয়ে শাদীর প্রোগামের জন্যও অনেকে এখন নো মেকআপ লুকই পছন্দ করে থাকে।

‘নো মেকআপ’ মেকআপ লুক কি এবং কিভাবে করতে হয়?

এই ধরণের মেকআপ লুকে সীমিত পরিমাণ প্রোডাক্ট ব্যবহার করে এমন একটি লুক ক্রিয়েট করা হয় যেন প্রথম দৃষ্টিতে দেখলে বুঝাই যাবেনা ফেইসে কোন মেকআপ করা হয়েছে। এই ধরণের মেকআপ লুকে বেইজের জন্য ফাউন্ডেশনের বদলে বিবি বা সিসি ক্রিম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনেকে শুধু প্রাইমার ও কম্প্যাক্ট পাউডার দিয়েই বেইজ করে থাকে।

আইলুকের জন্য কোনরকম ব্ল্যাক কাজল আইলাইনার বা ডিপ কালার আইশ্যাডো ব্যবহার করা হয়না। শুধুমাত্র মাস্কারা ও আইব্রো কিট বা পেন্সিল দিয়ে আইব্রো আর্ট করে নিতে হবে, চাইলে ন্যুড কালার আইশ্যাডো দিয়ে হালকা হাতে আই ক্রিজ ডিফাইন করে নেয়া যেতে পারে। এই ধরণের লুকে আই কে ডিফাইন করার জন্য আইল্যাশ কার্ল করে দুই থেকে তিন কোট মাস্কারা এপ্লাই করে নিলে দেখতে খুব আকর্ষণীয় লাগে। এছাড়া চোখকে আকারে বড় দেখাতে ন্যুড বা হোয়াইট কাজল ব্যবহার করা যেতে পারে।

ফেইসে অতিরিক্ত ব্লাশন ব্যবহার করা যাবেনা, হালকা হাতে এভাবে ব্লাশন এপ্লাই করতে হবে যেন মনে হয় ফেইসে ন্যাচারালি গোলাপী আভা দেখা যাচ্ছে। হাইলাইটারের পরিমাণ চাইলে বাড়ানো যেতে পারে। এই ধরনের লুকে হাইলাইটার সাধারণত ডিউয়ি বা হাইড্রেটেট এপিয়ারেন্স আনার জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে খুব বেশি ব্যবহার করলে তা আবার আপনার ইম্পারফেকশনকে হাইলাইট করতে পারে।

খুব বেশি পাউডার এপ্লাই করা যাবেনা, এক্ষেত্রে ফেইস কেকি হয়ে যেতে পারে। ফেইস খুব বেশী পাউডারি হয়ে গেলে সেটিং স্প্রে বা মিস্ট ব্যবহার করে মেকআপকে সেট কোড়ে নেয়া যেতে পারে।

নো মেকআপ লুকে কখনই খুব হাই কন্ট্যুরিং করা যাবেনা, পারতপক্ষে কন্ট্যুরিং না করাই ভালো। বড় একটি ফ্লাফি ব্রাশ ইউজ করে ব্রোঞ্জিং করে নেয়া যেতে পারে, এতে ফেইস অনেকটা ওয়ার্ম দেখাবে ও সানকিসড লুক দিবে।

নো মেকআপ লুকে লিপস্টিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটু সতর্ক হতে হবে। কোনরকম ডার্ক ডিপ অথবা হাই কন্ট্রাস্টের লিপ কালার চুজ করা যাবেনা। এই ধরনের মেকআপ লুকের জন্য পারফেক্ট হলো ন্যুড শেডগুলো। ব্রাউন ন্যুড বা পিংক ন্যুড ও ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে তা যেন আপনার স্কিন টোনের চেয়ে খুব বেশি ব্রাইট বা ডিপ না হয়ে যায়। স্কিন টোনের কাছাকাছি ও মানানসই যে কোন লিপ কালার নির্বাচন করতে হবে। ডিউয়ি মেকআপ চাইলে লিপ গ্লস আর ম্যাট মেকআপ চাইলে ম্যাট অথবা সেমি ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করা যাবে।

এই ধরণের মেকআপ যে কোন ফেইস শেইপ বা যেকোনো বয়সের মহিলাদের জন্য মানানসই। এই ধরনের লুকে যেহেতু ভারী বেইজ ব্যবহার করা হয়না তাই মেকআপ খুব বেশি লং লাস্টিং নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে কমপ্যাক্ট পাউডার দিয়ে ড্যাব করে মেকাপ সেট করে নেয়া যেতে পারে।

Join Our Community

Leave a Reply